বঙ্গবন্ধু কে বাংলার আসল নায়ক বলার পিছনে অনেক কিছু যুক্তি আছে তেমনি তার বলে যাওয়া কিছু কথায় তা প্রমান করে।
যদিও আমি এখনো রাজনৈতিক কোন দলের সাথে সরাসরি স্মপৃক্ত না। তবুও অনলাইন সুবিষাল জ্ঞানের ভান্ডার থেকে এ র্পযন্ত যা শিখতে পেরেছি তার কিছু বহি প্রকাশ মাত্র এই স্ট্যাটাস ! কেনো জানি ওনার সেরা কিছু কথা দিয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে আজ।
র্বতমান আওমিলিগের সব নেতা মুখে বলে যে তারা বঙ্গবন্ধুর আর্দশে আর্দশিত। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তার আর্দেশের "আ" এর ধারে কাছেই ভিড়তে পারেন নি। বঙ্গ বন্ধু খেটে খাওয়া মানুষের রাজনিতি করতেন। আর এখন কাঁরে নেতারা করে পকেট রাজনিতি। সেটার প্রমান অবস্য আমাদের সন্মানিয় টাকা মন্ত্রি দিয়েছেন মাল খান tongue emoticon । তার উল্লেখ যগ্য উক্তি- ১ টাকায় কি এখনো চকলেট পাওয়া যায় নাকি ? gasp emoticon
এনি ওয়ে এসব ছিচকে রজনিতিবিদের কথা বলে বঙ্গ বন্ধুর কে নিয়ে লেখা স্ট্যাটাস গন্ধ করতে চাই না। unsure emoticon
বঙ্গবন্ধু ছাড়া বংলাদেশ কে স্বাধীন কখনো কল্পনা করা সম্ভব হত না। ততকালিন সময়ে ফাকিস্থানের পথের কাঁটা কিন্তু শুধু মাত্র বঙ্গবন্ধুই ছিলো সেটা কেউ মানুক আর নাই বা মানুক। ইতিহাস কথা বলে এখনো।
যদিও এখনও অনেক বির্তক আছে এই নিয়ে। কিন্তু তার কিছু ম্যল্যবান বক্তব্য অনেক ভালো লাগে। যে কথা গুলো তাকে অমর করে রেখেছে।
১। "আর সাম্প্রদায়িকতা যেন মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে।ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ।মুসলমান তার ধর্মকর্ম করবে।হিন্দু তার ধর্মকর্ম করবে।বৌদ্ধ তার ধর্মকর্ম করবে।কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।কিন্তু ইসলামের নামে আর বাংলাদেশের মানুষকে লুট করে খেতে দেওয়া হবে না।"-এপ্রিল ১৯৭৩
ওনার এই কথাটা যেদিন মাথায় ধুকছে সেদিন থেকেই বুঝেছিলাম বঙ্গ বন্ধু কি আর কথার মুল্য কত ছিলো।
অবস্য এই উক্তির উপর ভিত্তি করে আমাদের ফাকস্থানের অবল্বি টুপি বাজরা বলেন - বঙ্গ বন্ধু র্ধম নিরপেক্ষ বলতে বুঝিয়েছেন , বাংলাদেশ থেকে ইসলাম কে ধ্বংস করার প্রয়াস ছিলো।
কিন্তু মহানবি কি বলেছেন অন্য র্ধম অবলম্বিদের জন্য?
এক ইহুদির পথে কাঁটা রাখার গল্প মনে আছে আপনার? কি ছিলো মহানবীর দৃষ্টান্ত ? বারবার কাঁটা দেওয়া র্শতেও তিনি ঐ ইহুদিকে পরে সেবা করেছেন। নাকি ওনি ইহুদিকে জোর করে ইসলাম র্ধম গ্রহন করিয়েছিলেন? না আরব থকে বৃধাকে বের করে দিয়েছিলেন?
বঙ্গ বন্ধুর কথাটা না বুঝেই লাফ ঝাপ।
২।"পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।যদি কেউ বলে যে,ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে,আমি বলব ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়নি।সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্হা করেছি।কেউ যদি বলে গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার নাই,আমি বলব সাড়ে সাত কোটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যদি গুটিকয়েক লোকের অধিকার হরণ করতে হয়,তা করতেই হবে।"-এপ্রিল ১৯৭৩
আর এখন কি হয়? এখন জামাতের মহিলারা বাসায় বাসায় তবলিক করে করে বলে বেড়ায় যে- জামাতকে ভোট দিবেন, না হলে অন্য দল কে দিলে জাহান্নামে যাবেন। র্ধম নিয়ে কারা ব্যাবসা করে ? চলতি সময়ে ধর্ম নিয়ে রমরমা ব্যাবসা চলছে । চলতেই থাকবে কারণ ধর্মের মুল ভিত্তি বিশ্বাস ব্যাবসার মুল ভিত্তি ও বিশ্বাস ।
নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কত হাদিসে আমপারা প্রয়োগ । বাট বঙ্গ বন্ধু আর একটি কথা বলেছেন। যদিও র্বতমান আওমিলিগের জন্য প্রযজ্য না।
৩। "আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আটকে রাখার জন্য রাজনীতি করে না।ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে আইন করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকতে পারত।"-মার্চ ১৯৭৪
,
৪।"সরকারী কর্মচারীদের জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে।তাঁরা জনগণের খাদেম,সেবক,ভাই।তাঁরা জনগণের বাপ,জনগণের ছেলে,জনগণের সন্তান।তাঁদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।"-জুন ১৯৭৫ ,
আর এখন? আমাদের সাবেগ সরাষ্ট্রমন্ত্রি সাহারা খাতুন বলেন- ঈদে যার যার ঘরের তালা মেরে যাবেন। আমরা কারো ঘর জানমাল পাহারা করতে পারবো না। অবাক লাগে এরা নাকি আবার বঙ্গ বন্ধুর রাজনিতি করে।
,
।
৫।"আন্দোলন গাছের ফল নয়।আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না।আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হয়।আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়।আন্দোলনের জন্য নি:স্বার্থ কর্মী হতে হয়।ত্যাগী মানুষ থাকা দরকার।আর সর্বোপরি জনগণের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সমর্থন থাকা দরকার।"-মার্চ ১৯৭৪
,
আর র্বতমানে রাজনিতিতে অবরোধ বললেও গাড়ি ঘোড়া সব চলে। বিপক্ষ বলে জনগন সার্মথন জানিয়েছে, অন্য পক্ষ বলে জনগন অবরোধ মানে নি।
,
কিন্তু সত্যি কথা বলতে ততকালিন সময় - বঙ্গ বন্ধু যদি একবার বলতো অবরোধ/ হরতাল তো সেদিন আর কেউ ঘর থেকে বের হত না, গাড়ির চাকা ঘুরতো না। সবাই ছিলো একজোট। র্বতমানের রাজনিতিতে তা নেই।
,
৬।"এ প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে কাঁটা বলে মনে হয়।আমি যদি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারি,আমি যদি দেখি বাংলার মানুষ দু:খী,আর যদি দেখি বাংলার মানুষ পেট ভরে খায় নাই,তাহলে আমি শান্তিতে মরতে পারবো না।"-জুলাই ১৯৭৪
,
কিন্তু এখন ???
জনগন পেক্ট্রল বোমা খায়। আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
,
৭।"ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না।বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে এনে দেশকে গড়া যাবে না।দেশের মধ্যেই পয়সা করতে হবে।বিদেশ হতে আমদানী করা 'ইজম' বা 'সিস্টেম' না,দেশের মাটির সাথে সংযোগ রেখেই শোষণহীন সমাজ গড়ব।"
,
আর এখন আওমিলিগ কি করছে>? ভারত থেকে কুইকরেন্টাল !! সব ইভেন র্নিবাচনের পিছনেও ভারত মদত দিতেছে। কিভাবে বঙ্গ বন্ধুর আর্দশ পেলো ?
,
৮।"আমি আমার জন্মদিনের উৎসব পালন করি না।এই দু:খিনী বাংলায় আমার জন্মদিনই-বা কি আর মৃত্যুদিনই-বা কি?"
,
আমাদের সাবেক প্রধান মন্ত্রি কিন্তু শোক দিবসে জন্মদিন পালন করেন।
৯।"ব্ল্যাকমার্কেটিং কারা করে?যাদের পেটের মধ্যে দুই কলম বিদ্যা রয়েছে তারাই ব্ল্যাকমার্কেটিং করে।স্মাগলিং কারা করে?যারা বেশি লেখাপড়া করেছে তারাই করে।হাইজাকিং কারা করে?"যারা বেশি লেখাপড়া শিখছে তারাই করে।ইন্টারন্যাশনাল স্মাগলিং তারাই করে। বিদেশে টাকা রাখে তারাই।আমরা যারা শিক্ষিত,আমরা যারা বুদ্বিমান,ওষুধের মধ্যে ভেজাল দিয়ে বিষাক্ত করে মানুষকে খাওয়াই তারাই।নিশ্চয়ই গ্রামের লোক এসব পারে না,নিশ্চয়ই আমার কৃষক ভাইরা পারে না।নিশ্চয়ই আমার শ্রমিক ভাইরা পারে না।"-জুলাই ১৯৭৫
এ ক্ষেত্রে বি এনপি ছাড় পেলো একটু কজ বিএনপির গোড়ায় র্মুখ তো আর কি বলার আছে। তবুও মানি ট্রানেসফারে এগিয়ে tongue emoticon
১০।১৯ অগাস্ট, ১৯৭৩, সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণের অংশ বিশেষ -
বাবারা, একটু লেখাপড়া শিখ।যতই জিন্দাবাদ আর মুর্দাবাদ কর,ঠিকমত লেখাপড়া না শিখলে কোন লাভ নেই।আর লেখাপড়া শিখে যে সময়টুকু থাকে বাপ-মাকে সাহায্য কর।প্যান্ট পরা শিখেছো বলে বাবার সাথে হাল ধরতে লজ্জা করো না।দুনিয়ার দিকে চেয়ে দেখ।কানাডায় দেখলাম ছাত্ররা ছুটির সময় লিফট চালায়।ছুটির সময় দু'পয়সা উপার্জন করতে চায়।আর আমাদের ছেলেরা বড় আরামে খান, আর তাস নিয়ে ফটাফট খেলতে বসে পড়েন।গ্রামে গ্রামে বাড়ীর পাশে বেগুন গাছ লাগিও, কয়টা মরিচ গাছ লাগিও, কয়টা লাউ গাছ ও কয়টা নারিকেলের চারা লাগিও।বাপ-মারে একটু সাহায্য কর। কয়টা মুরগী পাল, কয়টা হাঁস পাল।জাতীয় সম্পদ বাড়বে।তোমার খরচ তুমি বহন করতে পারবে। বাবার কাছ থেকে যদি এতোটুকু জমি নিয়ে ১০ টি লাউ গাছ, ৫০ টা মরিচ গাছ, কয়টা নারিকেলের চারা লাগায়ে দেও, দেখবে ২/৩ শত টাকা আয় হয়ে গেছে।তোমরা ঐ টাকা দিয়ে বই কিনতে পারবে। কাজ কর, কঠোর পরিশ্রম কর, না হলে বাঁচতে পারবে না।শুধু বিএ।এমএ পাস করে লাভ নেই।আমি চাই কৃষি কলেজ, কৃষি স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল, কলেজ ও স্কুল, যাতে সত্যিকারের মানুষ পয়দা হয়।বুনিয়াদি শিক্ষা নিলে কাজ করে খেয়ে বাঁচতে পারবে। কেরানী পয়দা করেই একবার ইংরেজ শেষ করে দিয়ে গেছে দেশটা।তোমাদের মানুষ হতে হবে ভাইরা আমার।আমি কিন্তু সোজা সোজা কথা কই, রাগ করতে পারবে না।রাগ কর,আর যা কর, আমার কথাগুলো শোন।লেখাপড়া কর আর নিজেরা নকল বন্ধ কর।আর এই ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতির বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে থানায় থানায় সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোল।প্রশাসনকে ঠিকভাবে চালাতে সময় লাগবে।এর একেবারে পা থেমে মাথা পর্যন্ত গলদ আছে।মাঝে মাঝে ছোট-খাট অপারেশন করছি।বড় অপারেশন এখনো করি নাই। সময় আসলে করা যাবে।তোমাদের আমি এইটুকু অনুরোধ করছি, তোমরা সংঘবদ্ধ হও।আর মেহেরবানী করে আত্মকলহ করো না।এক হয়ে কাজ কর।দেশের দুর্দিনে স্বাধীনতার শত্রুরা সংঘবদ্ধ, সাম্প্রদায়িকতাবাদীরা দলবদ্ধ,তোমাদের সংঘবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
,
আমাদের এখনকার ছাগুরা কি করে ? ভালোই জানেন!!
যাই হোক এরোকম হাজার হাজার উক্তি বঙ্গ বন্ধুর আছে। তার এই উক্তিগুলোই প্রমান করে যে তিনি আসলেই বঙ্গ বন্ধু ছিলেন। নামে নয় কামে ছিলো। র্বতমান আওমিলিগের অধিকাংশ নেতারা সংবাদ সম্মেলনে ভুল কথা র্বাতা বলেন। আমার তো মনে হয় গাঞ্জা খেয়ে বকে। এদেরকে বঙ্গ বন্ধুর জিবনী টা মুখস্ত করাতে হবে, যদি কোন উপকারে আসে।
কিছু দিন আগে ভাবতাম আন্দালিব রহমান র্পাথ অন্য দলে কেনো? এরোকম নেতা তো আওমিলিগের হওয়া উচিৎ। কিন্তু পরে দেখলাম বঙ্গ বন্ধুর সেই উক্তিটার অনেক খানিক যুক্তি আছে।
বঙ্গ বন্ধু বলেছিলেনঃ "অযোগ্য নেতৃত্ব,নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই।তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়।"
আন্দালিব রহমান পার্থ জানেন যে এর অকেজো আসলেই। সত্যিই বুঝ আর বিবেক বান রাজনিতিবিদ যদি আওমিলিগে , আন্দালিবের মত আর ৫ টা থাকতো তো বাংলাদেশের এতো দুরদশা হত না।
বঙ্গ বন্ধুর সত্যিকারের আর্দশের যদি এখনকার রাজনিতিতে পেতাম তো আওমিলিগই করতাম।
" বঙ্গ বন্ধু ফিরে পেতে চাই আবার তোমায়।"
নোটিসঃ বঙ্গ বন্ধু কে নিয়ে যারা বাজে মন্ত্যব্য করেন। নিজের চেহারা আয়নায় একবার দেখুন তারপর বঙ্গ বন্ধুর ছবিটা দেখুন। তারপর এনালাইসিস করুন আপনি কি আর বঙ্গ বন্ধু কি !! আপনাকে গলা না ফাটালেও হবে, এখনো ইতিহাস কথা বলে কে সেরা কে বাংলার জনক। আর খুব বেশি কিউরেসিটি থাকলে গুগোল মামা কে প্রশ্ন করুন উত্তর তো পাবেন।
ধন্যবাদ !