নিরাপদ সড়ক নিজেরাই গড়ি !! জাষ্ট একটু সাবধনতা মেনে চলি অন্য কেউ উৎসাহ করি !!

Unknown 11:33 AM
বাংলাদেশে সড়ক র্দুঘটনা খুব মারমান্তিক একটা বিষয়। একটু নিজেরা সর্তক থাকলে কিন্তু কিছুটা হলেও এই সড়ক র্দুঘটনা থেকে রেহায় পেতে পারি + ...Read More
নিরাপদ সড়ক নিজেরাই গড়ি !! জাষ্ট একটু সাবধনতা মেনে চলি অন্য কেউ উৎসাহ করি !! নিরাপদ সড়ক নিজেরাই গড়ি !! জাষ্ট একটু সাবধনতা মেনে চলি অন্য কেউ উৎসাহ করি !! Reviewed by Unknown on 11:33 AM Rating: 5

কিভাবে ফানুস তৈরি করবেন- আসুন শিখে প্রাক্টিকালে ।

Unknown 6:38 PM
আমাদের দেশে রেডিমেট ফানুস পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলো আমাদের নাগালের বাইরে কিছুটা। তাই চাইলেও সহজে ফানুস ওড়ানো সাধ্যের ভিতরে পড়ে না। অনেকে ন...Read More
কিভাবে ফানুস তৈরি করবেন- আসুন শিখে প্রাক্টিকালে । কিভাবে ফানুস তৈরি করবেন- আসুন শিখে প্রাক্টিকালে । Reviewed by Unknown on 6:38 PM Rating: 5

Inspirational ! এবার আপনিও সফল হবেন ! আপনাকে এবার পারতেই হবে।

Unknown 1:06 AM
আপনার অফিসের বস চেঞ্জ হয়েছে? আপনার কাছের বন্ধুরা চেঞ্জ হয়েছে ? আপনার ফ্যামিলির মানুষ গুলোর ব্যবহার চেঞ্জ হয়েছে?  আপনার প্রিয় মানুষটি ...Read More
Inspirational ! এবার আপনিও সফল হবেন ! আপনাকে এবার পারতেই হবে। Inspirational ! এবার আপনিও সফল হবেন ! আপনাকে এবার পারতেই হবে। Reviewed by Unknown on 1:06 AM Rating: 5

নিজেকে চিনেতে শিখুন ! আমার আমিকে জাগিয়ে তুলুন। দেখবেন আপনি পারবেন । ( একটি সত্যিকারের লাইফ ট্রাজিডি )

Unknown 7:00 PM
মেয়েটার নাম রুথ। দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাওই থেকে নরওয়েতে আমার মতোই বৃত্তি নিয়ে অর্থনীতি পড়তে এসেছে। ক্লাসের অন্য সহপাঠীদের ...Read More
নিজেকে চিনেতে শিখুন ! আমার আমিকে জাগিয়ে তুলুন। দেখবেন আপনি পারবেন । ( একটি সত্যিকারের লাইফ ট্রাজিডি ) নিজেকে চিনেতে শিখুন ! আমার আমিকে জাগিয়ে তুলুন। দেখবেন আপনি পারবেন । ( একটি সত্যিকারের লাইফ ট্রাজিডি ) Reviewed by Unknown on 7:00 PM Rating: 5
Unknown 6:50 PM
বঙ্গবন্ধু কে বাংলার আসল নায়ক বলার পিছনে অনেক কিছু যুক্তি আছে তেমনি তার বলে যাওয়া কিছু কথায় তা প্রমান করে। যদিও আমি এখনো রাজনৈতিক কোন...Read More
Reviewed by Unknown on 6:50 PM Rating: 5

Friday, January 30, 2015

নিরাপদ সড়ক নিজেরাই গড়ি !! জাষ্ট একটু সাবধনতা মেনে চলি অন্য কেউ উৎসাহ করি !!




বাংলাদেশে সড়ক র্দুঘটনা খুব মারমান্তিক একটা বিষয়। একটু নিজেরা সর্তক থাকলে কিন্তু কিছুটা হলেও এই সড়ক র্দুঘটনা থেকে রেহায় পেতে পারি + অন্য একটা জিবণও বাঁচাতে পারি। সড়ক র্দুঘটনার জন্য আমরা নিজেরাই কিন্তু সরাসরি অথবা পত্যক্ষ ভাবে জড়িত আছি। অথবা কখনো সরকারের গাফোলতি থাকে। আজ নিজেদের কিছু বিষয় তুলে ধরবো। অন্য একসময় সরকারের ত্রুটি গুলো তুলে ধরবো। 

Tuesday, January 27, 2015

কিভাবে ফানুস তৈরি করবেন- আসুন শিখে প্রাক্টিকালে ।










আমাদের দেশে রেডিমেট ফানুস পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলো আমাদের নাগালের বাইরে কিছুটা। তাই চাইলেও সহজে ফানুস ওড়ানো সাধ্যের ভিতরে পড়ে না। /:)
অনেকে নিজের মনের ইচ্ছা লিখে উড়িয়ে দেন ফানুসে । কোন উৎসবকে আলাদা পর্যায়ে নিয়ে যেতে ফানুসের বিকল্প নেই। তাছাড়া ফটোগ্রাফির একটা চমৎকার সাবজেক্ট হলো ফানুস। B-)

এবছরের প্রথম দিনটা ফানুস উড়িয়ে শুরু করেছিলাম। তাই ভাবছিলাম ফানুস তৈরির টেকনিকটা সামুতে দিবো অনেকের কাজে লাগতে পারে। আমার মতো কেঊ যদি আবার ফানুস প্রেমি হয় :P

তো চলুন দেখেনি কিভাবে তৈরি করবো ফানুস।

মোঠামুটি মাঝারি আকারের একটি ফানুস তৈরি করতে আমাদের লাগবে মাত্র ১২ টাকা। আর বড় ফানুস তৈরি করতে কয়েকটি কাগজ বেশি লাগতে পারে। কিন্তু একটি ফানুস তৈরি করতে ২০ টাকার বেশি খরচ হবেনা বললেই চলে। জায়গা ভেদে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে।

তৈরির প্রয়োজনীয় সামগ্রিঃ



* - টিস্যু বা খুব পাতলা পেপার ঃ ফানুস তৈরির জন্য আপনার প্রথমেই প্রয়োজন হবে খুব পাতলা কাগজ। আপনি বড় কোন কাগজের দোকানে গিয়ে ঘুড়ির কাগজের কথা বললেই পেয়ে যাবেন। একটি ফানুস বানাতে সাধারনত কমপক্ষে চারটি কাগজ প্রয়োজন হয়।


* - আঠা
* - পেইন্ট ব্রাশ
* - পাতলা তার
* - বাঁশের পাতলা কঞ্চি
* - কেঁচি
* - ছুরি
* - প্লাস বা তার কাটার যন্ত্র


কার্যপ্রণালীঃ

মাপঃ










উপরের চিত্রে ফানুসের প্রকৃত আকার দেখানো হলো। আমাদের দেশে খুচরা বাজারে সাধারণত এতো বড় মাপের কাগজ পাওয়া যায় না। আপনি প্রয়োজনে আপনার কাগজ জোড়া দিয়েও এই আকারের ফানুস তৈরি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কাগজগুলোর আকার দৈর্ঘ্যে কমপক্ষে ৪০ ইঞ্চি আর প্রস্থে ২২ ইঞ্চি হওয়া প্রয়োজন।
অথবা,
আমাদের দেশে সাধারনত দিস্তা হিসেবে যেগুলো কাগজ পাওয়া যায় সেগুলোর আকার হয় সাধারণত দৈর্ঘ্যে ৩০ ইঞ্চি আর প্রস্থে ১৮ ইঞ্চি। এগুলো দিয়েও তৈরি করতে পারবেন।



১/ কাগজ কাটার নিয়মঃ

- প্রথমে চারটি বড় টিস্যু পেপার একটি আরেকটির উপর একসাথে রাখুন
- এরপর এটি লাম্বালম্বি দুই ভাজ করুন
- এরপর এটি কেঁচি দিয়ে ঘণ্টার মত করে চিত্র অনুযায়ি কাটুন



একটু বিস্তারিতই বুঝিয়ে দেই :P


এভাবে সব গুলো কাগজ মাঝ বরাবর ভাজ করুন।

-
ছোট আকারের কাগজ হলে কাগজগুলো দৈর্ঘ্য ৩০ ইঞ্চি, মাঝখানে (১৮/২)= ৯ ইঞ্চি এবং শেষে (১২/২)= ৬ ইঞ্চি আকারে কেটে নিন।
বড় আকারের কাগজে করতে হলে ভাজ করা কাগজগুলো দৈর্ঘ্য ৪০ ইঞ্চি, মাঝখানে (২২/২)= ১১ ইঞ্চি এবং শেষে (১২/২)= ৬ ইঞ্চি আকারে কেটে নিন।


কাগজ গুলো কাটার পর দেখতে এমনি হবে :)

- আপনার কাছে চারটি বড় আকারের ঘণ্টা আকৃতির কাগজ থাকবে ।



বডি তৈরিঃ

এবার একটি কাগজ আলাদা করে নিয়ে চিত্রের মত কাগজটির এক পাশে আঠা লাগান।



কাগজটি ভালোভাবে বসিয়ে উপরের কাগজটির আর এক পাশ উল্টিয়ে নিন। এবং র্পুরের ন্যায় আবার আঠা লাগান ।




**** যেহুত ৩ টি কাগজ লাগানো হয়ে গেছে। তাই চিত্রের মত শেষে লাগানো কাগজটির আর প্রথমে লাগানো কাগজটির উভয়টির কিনারে আঠা লাগিয়ে নিন এভাবে--



শেষ ধাপে আগের মত করেই ৪ নং কাগজে শেষ কিনার আর ১ নং কাগজের প্রথম কিনার জুড়ে দিন। আঠা শুকাতে দিন। আঠা শুকিয়ে গেলে খুলে দেখুন ফানুসের প্রায় তৈরি।

বডির ফ্রেম তৈরিঃ



- এরপর বাঁশের পাতলা কঞ্চি নিয়ে সেটা কাগজের যে পাশে খোলা আছে সে পাশের মাপমত করে একটি গোলাকার চাকতি তৈরি করুন।আপনি ইচ্ছা করলে জি আই তাঁর দিয়েও ফ্রেমটি তৈরি করতে পারেন।



এখন জি আই তার নিয়ে চার ফুট আকারে একটুকরা তার কেটে নিন। তারপর তারটি পেচিয়ে গোল করুন। তারের মাথা দুটি একসাথে আটকে দিন। ছোট আকারের আরো দুটি তার কেটে নিন। সেগুলো চিত্রের মত গোল তারটির সাথে আটকে দিন। চিত্রের ন্যায় একটি ফ্রেম আপনি নিজেই এখন তৈরি করে ফেলেছেন :P

এখন পালা ফানুসের বডির সাথে ফ্রেমের জোড়া দেওয়া :P



আঠার আস্তরনটা খুব বেশি ভারি করে ফেলবেন না। ফানুসের বডির সাথে ফ্রেমটি ভালো ভাবে জোড়া দিন। খেয়াল রাখবেন, সব সাইডে ভালো ভাবে আঠা লাগে এবং কোন সাইডে যেন লিক না থাকে ফ্রেমের গোঁড়ায় ।

ফানুস ওড়ানোর জন্য প্রয়োজন ফানুসের জ্বালানিঃ
কেউ কেউ ছোট ভালো মোমবাতিও ব্যাবহার করতে পারেন।



সবচেয়ে ভালো হয় নিজে জ্বালানি তৈরি করে নিলে।বাজারে খোলা মোম পেতে পারেন র্হাডওয়্যারের দোকানে।র্ফামেসির দোকার থেকে ব্যান্ডেজ সংগ্রহ করুন।



কিছু মোম (পরিমাণ মত) একটা পাত্রে গরম করুন। মোম গোলে গেলে ৬-৭ ইন্সি ব্যান্ডেজ কেটে নিয়ে গোলিত মোমের ভিতরে ছেড়ে দিন। ভালো ভাবে মোম ব্যান্ডেজে মাখিয়ে নিন। তারপর ব্যান্ডেজটি শুখাতে দিন।


শুখালেই তৈরি হয়ে গেলো আপনার কাংখিত জ্বালানি।

এবার ফানুস উড়াবার পালা।
তৈরি করা ফানুসের মধ্যে যেখানে জি আই তার দুটি পরস্পরকে ক্রস করেছে সেখানে জ্বালানির তারটির সাহায্যে জ্বালানিটি বেধে দিন।
সবইতো শেষ বসে আছেন কেনো ? আগুন ধরিয়ে দিন
এবার জ্বালানিতে আগুন ধরিয়ে দিন। কিছুক্ষণ আগুন জ্বললেই ফানুসটি ফুলে উঠবে। তারপর আস্তে আস্তে উপরের দিকে টান বাড়বে। কিছুক্ষন ধরে থাকুন। টান বেড়ে গেলে আস্তে করে ছেড়ে দিন। ফানুস আস্তে আস্তে উপরে উঠে যাবে।


কিছু সর্তকতাঃ

১ ভালো করে খেয়াল করুন কাগজের কোথাও যেন ছেঁড়া না থাকে বা আঠা কোথাও যেন খোলা না থেকে গরম বাতাস না বের হয়ে যায়। কারন গরম বাতাসই ফানুসকে উপরে টেনে নিয়ে যায়।
২ ফানুস ছাড়ার সময় যাতে এক দিকে কাত না হয়ে যায়। এতে ফানুস এক দিকে হেলে আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর বুঝতেই পারছেন আগুন একবার লাগলে কি অবস্থাটা না হবে। সো সাবধান কাঁথায় যেনো আগুন না লাগে

৩ যখন বাতাস থাকে বা জোরে বাতাস বয় তখন ফানুস উড়াবেন না কারোণ বাতাসে হেলে গিয়ে আগুন লাগতে পারে।

তৈরি করুন উড়ান ফানুস আর উপভোগ করুন ফানুসের আলোকিত আকাশ

ধন্যবাদ সবাইকে, শুভ কামোনা রইলো

Inspirational ! এবার আপনিও সফল হবেন ! আপনাকে এবার পারতেই হবে।





আপনার অফিসের বস চেঞ্জ হয়েছে?
আপনার কাছের বন্ধুরা চেঞ্জ হয়েছে ?
আপনার ফ্যামিলির মানুষ গুলোর ব্যবহার চেঞ্জ হয়েছে? 
আপনার প্রিয় মানুষটি চেঞ্জ হয়ে গেছে আগের থেকে ?

এই সব বদলে যাওয়া বিষয়টা আপনার নিজের জীবন বদলে গেছে সেটার ইঙ্গিত দেই ? 
আমার মনে হয় না !!

আপনার জীবনে আপনি আপনার সীমিত বিশ্বাসের অতিক্রম করবে যখন আপনি পরিবর্তন তখন , পরিবর্তন তখন - যখন এটা বুঝবেন, "when you realize that you are the only one responsible for your life."


আমরা ভাবি আজ থাক কাল থেকে আবার নতুন করে শুরু করবো । বাট করি করি করে আর করা হয় না। শেষে যখন ব্যার্থতার র্পযায়ে চলে আসি তখন , কপালের দোষ বলে শিকার করি। আচ্ছা একবার ও ভবে দেখেছেন ?

আপনি তো আমার এই লেখাটা পড়ছেন ? তো একেকটা এক এক করে অক্ষর তো আপনার অনেক চেনা যানা। একটা একটা শব্দ পড়তেই আছেন আর একটার পর একটা লাইন শেষ করে ফেলছেন । শেষে এখন বলছেন আমি বোকা !! :P Any way that was fun :P 

তো আপনি এই লেখা একটু একটু বা একটা একটা করে শব্দ শেষ করে আমার পুরো লেখাটা শেষ করে ফেলবেন। তার মানে আমি যা লিখছি তাই আপনি পাড়লেন + বুঝেও গেলেন ! আর এটা আপনার ইচ্ছা ছিলো মনে যে আপনি এটা পড়ে শেষ করবেন। 

এবার নোটিস করুনঃ আপানার উদ্দেশ্য ছিলো আপনি আমার এই লেখা পুরোটা শেষ করবেন। ইতি মধ্যে প্রায় করে ফেলেছেনও । তো আপনার র্কম জীবনের সেই মহৎ কাজটাকেও এভাবেই শুরু করুন । এক সময় তো শেষ হবে আর সফলতাও আসবে এটা সত্য কথা। 



সফলতা আপনার উপরে র্নিভর করেই আসবে। কথায় আছে যেমন র্কম তেমন ফল !


আশা করি আমার ছোট একটা কথায় বুঝতে পারবেন আপনি । 

" একটা ডিম যখন বাইরের চাপে ভাঙ্গে , তখন একটা জীবন নষ্ট হয়। আর একটা ডিম যখন ভিতরের চাপে ভাঙ্গে তখন একটা জীবনের সূচনা হয় । " 

যখন বাইরের চাপ বা আঘাতঃ 


যখন ভিতর থেকে চাপঃ 


আপনাকে হাজার হাজার পথ দেখালেও আপনি সফলতা পাবেন না। যতক্ষন না আপনি ভিতর থেকে নিজের চেতনা জাগিয়ে না তুলবেন। 

নিজেকে ভিতর থেকে জাগিয়ে তুলুন, আপনি পারবেন। পারতেই হবে, করতেই হবে, পেতেই হবে । এই ৩ টি মাথায় রাখুন। হ্যাঁ এক সময় না এক সময় আপনি পারবেন। মানুষ একটা বস্তু নিখূত ভাবে তখনি দেখতে পারে , যখন নিখূত ভাবে ঐ বস্তুর উপর ফোকাস করে + শত ভাগ মনোযোগ দেয়। 
আপনিও আপনার লক্ষ্যের উপর নিখূত ফোকাস করুন। আপনি পারবেন। 


Monday, January 26, 2015

নিজেকে চিনেতে শিখুন ! আমার আমিকে জাগিয়ে তুলুন। দেখবেন আপনি পারবেন । ( একটি সত্যিকারের লাইফ ট্রাজিডি )




মেয়েটার নাম রুথ। দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাওই থেকে নরওয়েতে আমার মতোই বৃত্তি নিয়ে অর্থনীতি পড়তে এসেছে। ক্লাসের অন্য সহপাঠীদের মধ্যে সব থেকে চুপচাপ। কারও সঙ্গে তেমন কথা বলতে দেখি না। ওর দিকে তাকিয়ে হাসি দিলেও ফিরতি হাসি দিতে দেখিনি কখনো। ওর কোনো বন্ধুও নেই। ক্লাসের সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব হলেও ওর সঙ্গে অনেক দিন পর্যন্ত আমার বন্ধুত্ব হয়নি।
দ্বিতীয় সেমিস্টারে, ইকোনমেট্রিকস ক্লাসে আমাদের গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট ছিল। রুথ আমার কাছে এসে জানতে চায়, ও আমার সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্ট করলে আমার কোনো আপত্তি আছে কি না। আমি কিছুটা অবাক হলেও রাজি হয়ে যাই। কিন্তু ও এত চুপচাপ আর আমি হলাম ওর বিপরীত। সারা দিন বকবক না করলে আমি অসুস্থ বোধ করি। অ্যাসাইনমেন্ট শেষ হতে মাস খানেক সময় লাগবে। এতটা সময় কথা না বলে থাকব কী করে, এটাই আমার চিন্তা। অনেক কিছু ওকে জিজ্ঞেস করলেও ওর কাছে তেমন উত্তর পেতাম না। কদাচিৎ হ্যাঁ, হু বলেই জবাব দিত। আমি সারাক্ষণ এটা-ওটা নিয়ে কথা বলে যেতাম আর ও চুপচাপ শুনে যেত।
এভাবেই বেশ কিছুদিন কেটে গেল। একদিন আমার রুমে বসে আমরা অ্যাসাইনমেন্টের কাজ করছিলাম। রুথ হঠাৎ চিত্কার করে বলে উঠল, ‘দেখো স্নো ফল হচ্ছে।’ জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি তাই তো, কী অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য! ওর মতো আমারও জীবনের প্রথম স্নো ফল দর্শন। আমি তখন প্রকৃতির এই সৌন্দর্য মুগ্ধ চোখে উপভোগ করছি, হঠাৎ খেয়াল করলাম রুথ কাঁদছে। ও অঝোরে কাঁদছে। আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না স্নো ফলের সঙ্গে কান্নার সম্পর্ক কী? ও এভাবে কাঁদছে কেন? ওকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করে বিব্রত না করে চুপচাপ বসে রইলাম আমি। আর জিজ্ঞেস করলেও যে উত্তর পেতাম না, সে তো জানা কথাই। অনেকক্ষণ পর রুথ ধাতস্থ হয়ে নিজেই কথা শুরু করল। আমি চুপচাপ শুনে যেতে লাগলাম রুথের সত্যগাথা।
মালাওইতে পশ্চাৎ​পদ এক গ্রামে রুথের জন্ম। ওর মা-বাবা কৃষিকাজ করেন। ওর ছোট পাঁচ ভাইবোন আছে। ছেলেবেলাটা কেটেছে অসম্ভব দ​ারিদ্র্যের মাঝে। কিন্তু অভাবের মাঝেও ওরা ছিল অনেক সুখী একটা পরিবার। ওরা খুব হাসিখুশি থাকত সব সময়।
রুথ ছিল অসম্ভব চঞ্চল আর দুষ্টু। পাড়া প্রতিবেশীদের কাছ থেকে প্রায়ই ওর নামে বাসায় নালিশ আসত। মায়ের বেদম পিটুনি খেয়েও ও নাকি হিহি করে হাসত। পড়াশুনাতে ওর তেমন মন নেই। তার ওপর বাসা থেকে অনেক দূরের পথ হেঁটে ওকে স্কুলে যেতে হতো। স্কুলে সারা দিন হইচই করে দিন কাটত। কোনো মতে টেনেটুনে নাকি ও পরীক্ষায় পাস করত।
তখন ওর ১২/১৩ বছর বয়স হবে। স্কুল থেকে ফেরার পথে একদিন বখাটে একদল নরপশুর হাতে সে ধর্ষণের শিকার হয়। দমবন্ধ করা কষ্টে ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। জ্ঞান ফেরার পর অনেক কষ্টে বাসায় ফেরে। সেই রাতে গা কাঁপুনি দিয়ে ওর জ্বর আসে। সুস্থ হতে অনেক সময় লেগেছিল। ভয়ংকর ঘটনাটা ও জ্বরের ঘোরে ওর মাকে বলেছিল কি না, ও মনে করতে পারছিল না।
সুস্থ হওয়ার পর রুথ আর স্কুলে যায়নি। বাইরে খেলতে যাওয়া বা বন্ধুবান্ধব কারও সঙ্গে ওর কথা বলতে আর ভালো লাগত না। বাসায় সারা দিন চুপচাপ থাকত।
এরও কিছুদিন পরের কথা। রুথের শারীরিক পরিবর্তন ও নিজে টের না পেলেও অভিজ্ঞ মায়ের চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি। ওর মা বেশ দূরের এক ডাক্তারের কাছে রুথকে নিয়ে গিয়েছিলেন। মনে ক্ষীণ আশা। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। বাচ্চা জন্ম দেয়া ছাড়া রুথের সামনে কোনো পথ খোলা ছিল না।
পরিবারের এহেন বিপদে ওর মা নাকি একটুও ভেঙে পড়েননি। রুথকে শক্ত হাতে আগলে রেখে বেঁচে থাকার সাহস জুগিয়েছেন। ওর বুদ্ধিমতী মা ছোট ভাইবোনদের বাবার কাছে রেখে রুথকে অনেক দূরে তার বোনের বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
রুথের খালা একটা এনজিওতে ভালো চাকরি করতেন। অবিবাহিতা, একা থাকতেন। সেখানে আলো বাতাসহীন একটা ঘরে রুথ অনেকটা বন্দীর মতোই ছিল। ভাগ্যক্রমে ওই বাসায় ছিল বইয়ের বিশাল সংগ্রহশালা। একাকী সময়গুলো রুথ বই পড়ে কাটিয়েছিল। তার মধ্যে স্নো হোয়াইট ছিল ওর সব থেকে প্রিয়। অসংখ্যবার সে রূপকথার সেই বইটি পড়েছিল।
রুথের মা রুথের সঙ্গেই বোনের বাসায় থেকে গিয়েছিলেন। মাঝে মাঝে ওর বাবা ছোট ভাইবোনদের আনা-নেওয়া করতেন। এভাবেই দিন কেটে যায়। বদ্ধ সেই ঘরেই একদিন রুথ ওর মেয়ের জন্ম দেয়। ফুটফুটে তুলতুলে কৃষ্ণ কালো মেয়ে। ও ওর মেয়ের নাম রাখে ‘স্নো হোয়াইট’।
রুথের মা রুথকে আর বাসায় নিয়ে যাননি। খালার বাসায় রেখে রুথের সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাসায় ফিরে যান। ওর বাবা ছাড়া গ্রামের সবাই জেনে যায় যে, রুথের মায়ের আরও একটি মেয়ে হয়েছে। ভাইবোনেরা জানল যে ওদের ছোট একটা বোন হয়েছে। আর প্রতিবেশীরা জানল যে রুথ শহরে থেকেই পড়াশুনা করবে। মাঝে মাঝে বাসায় আসবে।
রুথ খালার বাসায় থেকে আবার স্কুলে ভর্তি হয়। একদা হাসিখুশি রুথ আরও চুপচাপ। ও দিন-রাত শুধু বই নিয়েই থাকত। একদা অমনোযোগী রুথ ক্লাসের মধ্যে সব থেকে ভালো রেজাল্ট করতে লাগল। রুথ স্নো হোয়াইটকে দেখার জন্য ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠত। পরীক্ষা শেষে করেই সে ছুটে গেল গ্রামের বাসায়। ছোট্ট স্নো তখন ভাঙা ভাঙা স্বরে রুথের মাকে মা ডাকতে শিখেছে। রুথ তার কাছে অচেনা।
রুথ খালার বাসায় ফিরে আসে। পড়াশুনার ফাঁকেই মাঝে মাঝে স্নোকে বাসায় গিয়ে দেখে আসত। এভাবেই সময় পেরিয়ে যাচ্ছিল। রুথ কৃতিত্বের সঙ্গে পড়াশুনার ধাপ শেষ করে। ভালো রেজাল্টের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে রুথ নিয়োগ পায়। এরপর স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে আজ সে অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে এসেছে।
রুথের কাছে জানতে পারি যে, স্নো এখন অনেক বড় হয়েছে। রুথকে তার বড় বোন বলেই সে জানে। ম্লান হেসে রুথ জানায়, স্নো কোনোদিন জানবে না কে তার আসল মা।
আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সেদিনের মতো রুথ রুমে ফিরে গেল। আর আমি ঝিম মেরে ভাবতে লাগলাম। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরও রুথ নিজেকে গড়ে তুলেছে, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছে, ওর মেয়েটাকে ও নিজের মেয়ে হিসেবে না পেলেও, মেয়েটা তো ওর পরিবার পেয়েছে!
রুথ এবং ওর মা প্রমাণ করছে যে ধর্ষণের শিকার হলেই মেয়ের জীবন শেষ হয়ে যায় না। নিষ্পাপ রুথ তার জীবনকে অন্ধকারে মিশে যেতে দেয়নি। ও হেরে যায়নি। ও ওর দরিদ্র পরিবারের হাল ধরেছে। ভাইবোনেরা ভালো স্কুল-কলেজে পড়ছে। ওর স্নো হোয়াইট বড় হয়ে উঠছে।
জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি রুথ দাঁড়িয়ে আছে খোলা মাঠে। হয়তো সে তার আদরের মেয়ে স্নো হোয়াইটকে অনুভব করছে সারা গায়ে শুভ্র স্নোতে আবৃত করে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই লেখাটি লেখার আগে আমি রুথের কাছে অনুমতি চেয়ে নিয়েছি)
লিখেছেনঃ জিনিয়া জাহিদ, এডিলেড (অস্ট্রেলিয়া) থেকে। প্রথম আলোতে প্রকাশিত।


বঙ্গবন্ধু কে বাংলার আসল নায়ক বলার পিছনে অনেক কিছু যুক্তি আছে তেমনি তার বলে যাওয়া কিছু কথায় তা প্রমান করে।
যদিও আমি এখনো রাজনৈতিক কোন দলের সাথে সরাসরি স্মপৃক্ত না। তবুও অনলাইন সুবিষাল জ্ঞানের ভান্ডার থেকে এ র্পযন্ত যা শিখতে পেরেছি তার কিছু বহি প্রকাশ মাত্র এই স্ট্যাটাস ! কেনো জানি ওনার সেরা কিছু কথা দিয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে আজ।
র্বতমান আওমিলিগের সব নেতা মুখে বলে যে তারা বঙ্গবন্ধুর আর্দশে আর্দশিত। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তার আর্দেশের "আ" এর ধারে কাছেই ভিড়তে পারেন নি। বঙ্গ বন্ধু খেটে খাওয়া মানুষের রাজনিতি করতেন। আর এখন কাঁরে নেতারা করে পকেট রাজনিতি। সেটার প্রমান অবস্য আমাদের সন্মানিয় টাকা মন্ত্রি দিয়েছেন মাল খান tongue emoticon । তার উল্লেখ যগ্য উক্তি- ১ টাকায় কি এখনো চকলেট পাওয়া যায় নাকি ? gasp emoticon
এনি ওয়ে এসব ছিচকে রজনিতিবিদের কথা বলে বঙ্গ বন্ধুর কে নিয়ে লেখা স্ট্যাটাস গন্ধ করতে চাই না। unsure emoticon
বঙ্গবন্ধু ছাড়া বংলাদেশ কে স্বাধীন কখনো কল্পনা করা সম্ভব হত না। ততকালিন সময়ে ফাকিস্থানের পথের কাঁটা কিন্তু শুধু মাত্র বঙ্গবন্ধুই ছিলো সেটা কেউ মানুক আর নাই বা মানুক। ইতিহাস কথা বলে এখনো।
যদিও এখনও অনেক বির্তক আছে এই নিয়ে। কিন্তু তার কিছু ম্যল্যবান বক্তব্য অনেক ভালো লাগে। যে কথা গুলো তাকে অমর করে রেখেছে।
১। "আর সাম্প্রদায়িকতা যেন মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে।ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ।মুসলমান তার ধর্মকর্ম করবে।হিন্দু তার ধর্মকর্ম করবে।বৌদ্ধ তার ধর্মকর্ম করবে।কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।কিন্তু ইসলামের নামে আর বাংলাদেশের মানুষকে লুট করে খেতে দেওয়া হবে না।"-এপ্রিল ১৯৭৩
ওনার এই কথাটা যেদিন মাথায় ধুকছে সেদিন থেকেই বুঝেছিলাম বঙ্গ বন্ধু কি আর কথার মুল্য কত ছিলো।
অবস্য এই উক্তির উপর ভিত্তি করে আমাদের ফাকস্থানের অবল্বি টুপি বাজরা বলেন - বঙ্গ বন্ধু র্ধম নিরপেক্ষ বলতে বুঝিয়েছেন , বাংলাদেশ থেকে ইসলাম কে ধ্বংস করার প্রয়াস ছিলো।
কিন্তু মহানবি কি বলেছেন অন্য র্ধম অবলম্বিদের জন্য?
এক ইহুদির পথে কাঁটা রাখার গল্প মনে আছে আপনার? কি ছিলো মহানবীর দৃষ্টান্ত ? বারবার কাঁটা দেওয়া র্শতেও তিনি ঐ ইহুদিকে পরে সেবা করেছেন। নাকি ওনি ইহুদিকে জোর করে ইসলাম র্ধম গ্রহন করিয়েছিলেন? না আরব থকে বৃধাকে বের করে দিয়েছিলেন?
বঙ্গ বন্ধুর কথাটা না বুঝেই লাফ ঝাপ।
২।"পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।যদি কেউ বলে যে,ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে,আমি বলব ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়নি।সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্হা করেছি।কেউ যদি বলে গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার নাই,আমি বলব সাড়ে সাত কোটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যদি গুটিকয়েক লোকের অধিকার হরণ করতে হয়,তা করতেই হবে।"-এপ্রিল ১৯৭৩
আর এখন কি হয়? এখন জামাতের মহিলারা বাসায় বাসায় তবলিক করে করে বলে বেড়ায় যে- জামাতকে ভোট দিবেন, না হলে অন্য দল কে দিলে জাহান্নামে যাবেন। র্ধম নিয়ে কারা ব্যাবসা করে ? চলতি সময়ে ধর্ম নিয়ে রমরমা ব্যাবসা চলছে । চলতেই থাকবে কারণ ধর্মের মুল ভিত্তি বিশ্বাস ব্যাবসার মুল ভিত্তি ও বিশ্বাস ।
নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কত হাদিসে আমপারা প্রয়োগ । বাট বঙ্গ বন্ধু আর একটি কথা বলেছেন। যদিও র্বতমান আওমিলিগের জন্য প্রযজ্য না।
৩। "আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আটকে রাখার জন্য রাজনীতি করে না।ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে আইন করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকতে পারত।"-মার্চ ১৯৭৪
,
৪।"সরকারী কর্মচারীদের জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে।তাঁরা জনগণের খাদেম,সেবক,ভাই।তাঁরা জনগণের বাপ,জনগণের ছেলে,জনগণের সন্তান।তাঁদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।"-জুন ১৯৭৫ ,
আর এখন? আমাদের সাবেগ সরাষ্ট্রমন্ত্রি সাহারা খাতুন বলেন- ঈদে যার যার ঘরের তালা মেরে যাবেন। আমরা কারো ঘর জানমাল পাহারা করতে পারবো না। অবাক লাগে এরা নাকি আবার বঙ্গ বন্ধুর রাজনিতি করে।
,
৫।"আন্দোলন গাছের ফল নয়।আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না।আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হয়।আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়।আন্দোলনের জন্য নি:স্বার্থ কর্মী হতে হয়।ত্যাগী মানুষ থাকা দরকার।আর সর্বোপরি জনগণের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সমর্থন থাকা দরকার।"-মার্চ ১৯৭৪
,
আর র্বতমানে রাজনিতিতে অবরোধ বললেও গাড়ি ঘোড়া সব চলে। বিপক্ষ বলে জনগন সার্মথন জানিয়েছে, অন্য পক্ষ বলে জনগন অবরোধ মানে নি।
,
কিন্তু সত্যি কথা বলতে ততকালিন সময় - বঙ্গ বন্ধু যদি একবার বলতো অবরোধ/ হরতাল তো সেদিন আর কেউ ঘর থেকে বের হত না, গাড়ির চাকা ঘুরতো না। সবাই ছিলো একজোট। র্বতমানের রাজনিতিতে তা নেই।
,
৬।"এ প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে কাঁটা বলে মনে হয়।আমি যদি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারি,আমি যদি দেখি বাংলার মানুষ দু:খী,আর যদি দেখি বাংলার মানুষ পেট ভরে খায় নাই,তাহলে আমি শান্তিতে মরতে পারবো না।"-জুলাই ১৯৭৪
,
কিন্তু এখন ???
জনগন পেক্ট্রল বোমা খায়। আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
,
৭।"ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না।বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে এনে দেশকে গড়া যাবে না।দেশের মধ্যেই পয়সা করতে হবে।বিদেশ হতে আমদানী করা 'ইজম' বা 'সিস্টেম' না,দেশের মাটির সাথে সংযোগ রেখেই শোষণহীন সমাজ গড়ব।"
,
আর এখন আওমিলিগ কি করছে>? ভারত থেকে কুইকরেন্টাল !! সব ইভেন র্নিবাচনের পিছনেও ভারত মদত দিতেছে। কিভাবে বঙ্গ বন্ধুর আর্দশ পেলো ?
,
৮।"আমি আমার জন্মদিনের উৎসব পালন করি না।এই দু:খিনী বাংলায় আমার জন্মদিনই-বা কি আর মৃত্যুদিনই-বা কি?"
,
আমাদের সাবেক প্রধান মন্ত্রি কিন্তু শোক দিবসে জন্মদিন পালন করেন।
৯।"ব্ল্যাকমার্কেটিং কারা করে?যাদের পেটের মধ্যে দুই কলম বিদ্যা রয়েছে তারাই ব্ল্যাকমার্কেটিং করে।স্মাগলিং কারা করে?যারা বেশি লেখাপড়া করেছে তারাই করে।হাইজাকিং কারা করে?"যারা বেশি লেখাপড়া শিখছে তারাই করে।ইন্টারন্যাশনাল স্মাগলিং তারাই করে। বিদেশে টাকা রাখে তারাই।আমরা যারা শিক্ষিত,আমরা যারা বুদ্বিমান,ওষুধের মধ্যে ভেজাল দিয়ে বিষাক্ত করে মানুষকে খাওয়াই তারাই।নিশ্চয়ই গ্রামের লোক এসব পারে না,নিশ্চয়ই আমার কৃষক ভাইরা পারে না।নিশ্চয়ই আমার শ্রমিক ভাইরা পারে না।"-জুলাই ১৯৭৫
এ ক্ষেত্রে বি এনপি ছাড় পেলো একটু কজ বিএনপির গোড়ায় র্মুখ তো আর কি বলার আছে। তবুও মানি ট্রানেসফারে এগিয়ে tongue emoticon
১০।১৯ অগাস্ট, ১৯৭৩, সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণের অংশ বিশেষ -
বাবারা, একটু লেখাপড়া শিখ।যতই জিন্দাবাদ আর মুর্দাবাদ কর,ঠিকমত লেখাপড়া না শিখলে কোন লাভ নেই।আর লেখাপড়া শিখে যে সময়টুকু থাকে বাপ-মাকে সাহায্য কর।প্যান্ট পরা শিখেছো বলে বাবার সাথে হাল ধরতে লজ্জা করো না।দুনিয়ার দিকে চেয়ে দেখ।কানাডায় দেখলাম ছাত্ররা ছুটির সময় লিফট চালায়।ছুটির সময় দু'পয়সা উপার্জন করতে চায়।আর আমাদের ছেলেরা বড় আরামে খান, আর তাস নিয়ে ফটাফট খেলতে বসে পড়েন।গ্রামে গ্রামে বাড়ীর পাশে বেগুন গাছ লাগিও, কয়টা মরিচ গাছ লাগিও, কয়টা লাউ গাছ ও কয়টা নারিকেলের চারা লাগিও।বাপ-মারে একটু সাহায্য কর। কয়টা মুরগী পাল, কয়টা হাঁস পাল।জাতীয় সম্পদ বাড়বে।তোমার খরচ তুমি বহন করতে পারবে। বাবার কাছ থেকে যদি এতোটুকু জমি নিয়ে ১০ টি লাউ গাছ, ৫০ টা মরিচ গাছ, কয়টা নারিকেলের চারা লাগায়ে দেও, দেখবে ২/৩ শত টাকা আয় হয়ে গেছে।তোমরা ঐ টাকা দিয়ে বই কিনতে পারবে। কাজ কর, কঠোর পরিশ্রম কর, না হলে বাঁচতে পারবে না।শুধু বিএ।এমএ পাস করে লাভ নেই।আমি চাই কৃষি কলেজ, কৃষি স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল, কলেজ ও স্কুল, যাতে সত্যিকারের মানুষ পয়দা হয়।বুনিয়াদি শিক্ষা নিলে কাজ করে খেয়ে বাঁচতে পারবে। কেরানী পয়দা করেই একবার ইংরেজ শেষ করে দিয়ে গেছে দেশটা।তোমাদের মানুষ হতে হবে ভাইরা আমার।আমি কিন্তু সোজা সোজা কথা কই, রাগ করতে পারবে না।রাগ কর,আর যা কর, আমার কথাগুলো শোন।লেখাপড়া কর আর নিজেরা নকল বন্ধ কর।আর এই ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতির বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে থানায় থানায় সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোল।প্রশাসনকে ঠিকভাবে চালাতে সময় লাগবে।এর একেবারে পা থেমে মাথা পর্যন্ত গলদ আছে।মাঝে মাঝে ছোট-খাট অপারেশন করছি।বড় অপারেশন এখনো করি নাই। সময় আসলে করা যাবে।তোমাদের আমি এইটুকু অনুরোধ করছি, তোমরা সংঘবদ্ধ হও।আর মেহেরবানী করে আত্মকলহ করো না।এক হয়ে কাজ কর।দেশের দুর্দিনে স্বাধীনতার শত্রুরা সংঘবদ্ধ, সাম্প্রদায়িকতাবাদীরা দলবদ্ধ,তোমাদের সংঘবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
,
আমাদের এখনকার ছাগুরা কি করে ? ভালোই জানেন!!
যাই হোক এরোকম হাজার হাজার উক্তি বঙ্গ বন্ধুর আছে। তার এই উক্তিগুলোই প্রমান করে যে তিনি আসলেই বঙ্গ বন্ধু ছিলেন। নামে নয় কামে ছিলো। র্বতমান আওমিলিগের অধিকাংশ নেতারা সংবাদ সম্মেলনে ভুল কথা র্বাতা বলেন। আমার তো মনে হয় গাঞ্জা খেয়ে বকে। এদেরকে বঙ্গ বন্ধুর জিবনী টা মুখস্ত করাতে হবে, যদি কোন উপকারে আসে।
কিছু দিন আগে ভাবতাম আন্দালিব রহমান র্পাথ অন্য দলে কেনো? এরোকম নেতা তো আওমিলিগের হওয়া উচিৎ। কিন্তু পরে দেখলাম বঙ্গ বন্ধুর সেই উক্তিটার অনেক খানিক যুক্তি আছে।
বঙ্গ বন্ধু বলেছিলেনঃ "অযোগ্য নেতৃত্ব,নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই।তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়।"
আন্দালিব রহমান পার্থ জানেন যে এর অকেজো আসলেই। সত্যিই বুঝ আর বিবেক বান রাজনিতিবিদ যদি আওমিলিগে , আন্দালিবের মত আর ৫ টা থাকতো তো বাংলাদেশের এতো দুরদশা হত না।
বঙ্গ বন্ধুর সত্যিকারের আর্দশের যদি এখনকার রাজনিতিতে পেতাম তো আওমিলিগই করতাম।
" বঙ্গ বন্ধু ফিরে পেতে চাই আবার তোমায়।"
নোটিসঃ বঙ্গ বন্ধু কে নিয়ে যারা বাজে মন্ত্যব্য করেন। নিজের চেহারা আয়নায় একবার দেখুন তারপর বঙ্গ বন্ধুর ছবিটা দেখুন। তারপর এনালাইসিস করুন আপনি কি আর বঙ্গ বন্ধু কি !! আপনাকে গলা না ফাটালেও হবে, এখনো ইতিহাস কথা বলে কে সেরা কে বাংলার জনক। আর খুব বেশি কিউরেসিটি থাকলে গুগোল মামা কে প্রশ্ন করুন উত্তর তো পাবেন।
ধন্যবাদ !
Powered by Blogger.